গত ৯ এপ্রিল থেকে মাত্র আট দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে ৬,০০০ এরও বেশি অতিরিক্ত কনটেইনার জমা হয়েছে। মিডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঈদের আগে চট্টগ্রাম পোর্ট অথরিটি (সিপিএ) পরিচালন প্রস্তুতি সম্পর্কে নিশ্চয়তা দিলেও, ছুটির দিনগুলিতে আমদানিকারকদের অনীহা বন্দরের কার্যকারিতা গুরুতরভাবে প্রভাবিত করেছে। ঈদের দিন নাকি কোনো ডেলিভারি হয়নি, যা সাধারণত ৪,০০০ থেকে ৪,৫০০ কনটেইনার প্রতিদিনের হারের সাথে তীব্র বিপরীত।

ছুটির দিনগুলোতে বন্দর খোলা থাকলেও, ব্যাংক, শুল্ক অফিস এবং বন্ধ কারখানার গুদামগুলির অসম্পূর্ণ কার্যক্রম এবং যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধের কারণে আমদানিকারকরা ডেলিভারি পাননি।

এদিকে, বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোজ এসোসিয়েশনের (বিআইসিডিএ) সেক্রেটারি রুহুল আমিন শিকদার উল্লেখ করেছেন যে, ঈদের আগে ও পরে কনটেইনার ডেলিভারির পরিমাণ কমে যাওয়া একটি বারবার ঘটে থাকা সমস্যা, যা প্রতি বছর বন্দর ও ডিপোগুলিতে জটিলতা সৃষ্টি করে।

শিকদার আরও জানান যে, ঈদের তিন দিন আগে ও পরে কভার্ড ভ্যানের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ডেলিভারির চ্যালেঞ্জ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পরিবহন খরচও বেড়েছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ অনুযায়ী, ৯ এপ্রিলের পর থেকে কনটেইনার ডেলিভারি কমতে থাকে, এবং ১০ এপ্রিল মাত্র ৩,১৯৫ কনটেইনার ডেলিভারি হয়েছে, যখন ঈদের দিন কোনো কনটেইনার ডেলিভারির খবর নেই।