ভিটামিন ডি: সূর্যালোক থেকে প্রাপ্ত এই মৌলিক খাবার

সূর্যালোক থেকে পাওয়া যায় ভিটামিন ডি। এছাড়া সামুদ্রিক মাছ, ডিমসহ আরও বেশ কিছু খাবারে মেলে এই ভিটামিন। শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি না পেলে নানাভাবে সেটা জানান দেয়। হাড়ে ব্যথা, পেশীর অস্থিরতা এবং অল্প শরীরের শক্তি হ্রাসের সঙ্গে এই অভাবের সংকেত জড়িত। ভিটামিন ডি হাড়ের ক্যালসিয়ামের সম্প্রেষণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হাড় গঠন ও রক্ষণাবেক্ষণে মৌলিক ভূমিকা পালন করে।

দিনভর ক্লান্তি? এটি হতে পারে ভিটামিন ডি অভাবের কারণে। শরীরের এনার্জি লেভেল কমতে শুরু করে এই ভিটামিনের অভাবে, ফলে দৈনিক কাজে ক্লান্তি অনুভব হতে পারে।

ভিটামিন ডি অভাবে শরীর অসুস্থ হতে পারে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে এবং অনেক সময় অসুস্থ অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে।

ভিটামিন ডি অভাবে হাড়, জয়েন্ট, পিঠ ও স্নায়ুতে ব্যথা হতে পারে। এটি যেতে পারে অস্থি ও মাংসপেশীর অস্থিবন্ধন বা দুর্বলতা সৃষ্টি করতে।

ভিটামিন ডি অভাবে স্ট্রেস লেভেল বাড়তে পারে, যা বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগ বাড়াতে সহায়ক।

অত্যধিক চুল পড়া হতে পারে ভিটামিন ডি অভাবের সঙ্গে যোগভাবে।

যদি আপনি অত্যধিক ওজন বাড়তে দেখেন, তাহলে ভিটামিন ডি অভাব সম্ভাবনা রয়েছে।

মার্কিন ইনস্টিটিউট অব মেডিসিনের পরামর্শ অনুযায়ী, প্রতি দিন ১০-২০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ডি খাওয়া প্রাথমিক। সূর্যালোকের আলো থেকে প্রাপ্ত এই ভিটামিন সহজেই পাওয়া যায়। তবে টুনা মাছ, স্যামন মাছ, ডিম, দই, দুগ্ধজাত খাবার, মাশরুম, সিরিয়াল, কমলার রস এবং পনিরের মতো খাবারে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের প্রচুর পরিমাণ থাকে।