র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সকালে শুক্রবার তিনটি অপরাধী গ্রেপ্তার করেছে, যাদের মধ্যে খোরশেদ আলম অন্তর্ভুক্ত। র‌্যাবের মিডিয়া বিভাগের একটি এসএমএসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের প্রবাসী বাঙালি নাগরিকেরা ছিলেন এবং তাদের কাছে অভিনব কায়দায় জিম্মি দেয়া হয়েছিল। এরপর তারা অবৈধভাবে বিদেশ থেকে স্বর্ণালংকার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য মূল্যবান পণ্য বাংলাদেশে নিয়ে আসতেন।

গত বৃহস্পতিবারের রাতে, রাব শান্তিনগর এলাকায় একটি অভিযান চালিয়ে তিনটি অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে। এই অভিযানে মধ্যে ছিল খোরশেদ আলম। এদিকে, গ্রেপ্তার হওয়া প্রবাসী বাঙালি নাগরিকদের কাছে জিম্মি দেওয়ার পর তাদের সঙ্গে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

অভিযানে অংশ নেওয়া র‌্যাব দল তাদের সাথে এসে অপহৃত ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে পারলো, এবং তাদের কাছে অবৈধভাবে প্রবেশ করে আসা স্বর্ণালংকার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রীগুলি জব্দ করতে হয়েছে।

এই চক্রের মূলহোতা খোরশেদ আলম এবং তার সহকর্মীদের প্রতি র‌্যাবের এই কঠোর উদ্দীপনা দেখে মনোনিবেশ পূর্বক বলা হয়েছে, “র‌্যাব সরকারের সর্বাধিক প্রশাসনিক দক্ষতা ও তত্ত্বাবধায়িকতা সহজেই প্রবাসী দেশবাসীদের সহায়কে গ্রেপ্তার করতে অক্ষম করে যায়। আমাদের এই অভিযান দ্বারা তাদের প্রস্তুতির অনুমতি দেয়া হয়েছে এবং অবৈধ মাধ্যমে প্রবেশ করার পথ বন্ধ করা হয়েছে।”

গ্রেপ্তার হয়ে থাকা অভিযানে র‌্যাব দল দ্বারা সংগৃহীত তথ্যে অনুযায়ী, গুগল ম্যাপস এবং অন্যান্য তথ্য সোর্স ব্যবহার করে বিদেশে থাকা প্রবাসীদের জন্য সহায়ক একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে তারা দেশে আসতে যোগাযোগ করতে পারতেন। এই ওয়েবসাইটে তাদের করণীয়, সঠিক পদক্ষেপ এবং সহায়ক তথ্যের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

অভিযানের প্রধান উদ্দেশ্য হয়েছে এই ধরনের অপরাধিক চক্রের কারণে দেশে স্বর্ণালংকার এবং অন্যান্য মূল্যবান পণ্য এসে যাওয়ার চেষ্টা বাড়াতে হোক না। এর ফলে প্রবাসীদের সহিত সকল নাগরিকের জন্য দেশে এসে কাজ করার সুযোগ বাড়তে হবে, এবং তাদের নিজেদের সুরক্ষা ও মানবাধিকার সুরক্ষিত থাকতে সাহায্য করতে হবে।

র‌্যাব জানাচ্ছে, এই অভিযানের মাধ্যমে বিদেশ থেকে এসে যাওয়া সকল প্রবাসীদের জন্য সঠিক তথ্যের প্রদান হবে এবং তাদের উদ্দার প্রক্রিয়ায় তাদের সহায়ক হতে সাহায্য করা হবে। র‌্যাব এই অভিযানের মাধ্যমে একটি সুরক্ষিত ও নিরাপদ দুনিয়ার জন্য প্রবাসীদের সাথে দান-ধর্ম করার লক্ষ্যে কাজ করতে চাচ্ছে।

র‌্যাবের মূলধারা খোরশেদ আলম ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের সাথে এই ধরনের উদ্দীপনা একটি শহরে এবং বাংলাদেশে বৃহত্তর এলাকায় এই প্রকার অপরাধের চক্রে সৃষ্টি হতে পারে এবং তার প্রভাব দেশে দাগ ফেলতে পারে। এই কারণে, র‌্যাব এই ধরনের অপরাধে মোকাবিলা করতে নতুন উদ্যম নিয়েছে এবং এই অভিযানের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী সংবিদান তৈরি করতে চাচ্ছে।

র‌্যাব প্রধান কমান্ডার তারিকুল ইসলাম বলেছে, “বিদেশ থেকে এসে যাওয়া সকল প্রবাসীদের জন্য এই অভিযান আমাদের একটি আত্মসাতত প্রয়াস, একটি সুরক্ষিত ও নিরাপদ পৃথিবীর দিকে একটি অবলম্বন। এটি তাদের প্রবেশ এবং বাংলাদেশে কাজ করার জন্য সুরক্ষিত একটি পদক্ষেপ।”

র‌্যাবের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশে স্বর্ণালংকার এবং অন্যান্য মূল্যবান পণ্য এসে যাওয়া এবং তা দূর করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতি সুস্থ থাকে এবং প্রবাসী দেশবাসীদের সুরক্ষা এবং সুখবোধ বাড়তে পারে।