মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ‘আওয়ামী লীগ’ শব্দকে এখন গালি হিসেবে ব্যবহার করে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চায়ের দোকানে বসলে কে আওয়ামী লীগ আর কে বিএনপি, তা বোঝার উপায় হিসেবে তিনি বলেছেন, ‘যে লোকটা সবচেয়ে জোরে কথা বলছে আর অশ্লীল কথা বলছে, ঐ লোকটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগ। লজ্জা হয়, দুঃখ হয় সরকারের একজন সাবেক প্রতিমন্ত্রী কী ভাষায় কথা বলেন। এটাই কিন্তু আওয়ামী লীগের আসল চেহারা।’
আজ রোববার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে কৃষক দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ এখন আর রাজনৈতিক দল নয়, এখন দানবে পরিণত হয়েছে। সত্যিকার অর্থে আওয়ামী লীগ কিন্তু দেশ চালায় না, দেশ চালান আমলারা। তাঁরা গণতন্ত্রের বাইরে দেশ পরিচালনা করছে।
র্যাবের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে দেশের জন্য লজ্জার উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, দুর্ভাগ্য, আওয়ামী লীগ এই অবস্থা তৈরি করেছে। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করছে। খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া এখন জীবন–মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তিনি বাইরে থাকলে মানুষকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য জাগিয়ে তুলতেন। সরকার তা ভয় পায়। চিকিৎসকেরা বলছেন, তাঁর বাইরে যাওয়া প্রয়োজন। সরকার তাতে কর্ণপাত করছে না, উল্টো তারা শিষ্টাচারবিবর্জিত কথা বলছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে শুধু কথায় হবে না। যে আন্দোলন আমরা করছি তার গতিপ্রকৃতিকে আরও কঠোর করতে হবে। দুর্বার করে তাঁকে মুক্ত করতে হবে। এ জন্য তিনি সংগঠনকে শক্তিশালী করার কথা বলেন।’ এ ছাড়া তিনি বলেন, সময়টা কঠিন। এখন কাজ করতে চাইলেও করা যায় না। এখন একটা সভা করতে চাইলেও করা যায় না। কৃষক দলের এ সভা প্রেসক্লাবে হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তা বাতিল করে দিয়েছে। রাস্তায় দাঁড়ালে পুলিশ অত্যাচার করবে। তবে এর মধ্য দিয়েই উঠে দাঁড়াতে হবে। কৃষকদের দাবিদাওয়া নিয়ে তাঁদের সংগঠিত করার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।